মহাসাগর কয়টি ও কি কি
মহাসাগর কি?
মহাসাগর হল বৃহৎ জলাশয়, যা ধরে রেখে বিশাল জলমণ্ডল প্রশান্ত, অধিকাংশই খাঁটি এবং মহাসাগরীয় জল হয়। এগুলি পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত হয় এবং সাগরিক জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মহাসাগর পৃথিবীর মোট পৃষ্ঠপাতির প্রায় ৭০.৮% কেভার করে, এবং পৃথিবীর প্রায় ৩৭ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার জলভাগের মধ্যে প্রায় ৯১% মহাসাগরের অংশ রয়েছে। সাধারণত মহাসাগরগুলি একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে থাকে, যা পৃথিবীতে বৃহৎ মহাসাগর সিস্টেমের একটি অংশ তৈরি করে। এই মহাসাগরের মধ্যে প্রাচীনভাবেই বায়ুর এবং জলের পরিবর্তন ঘটে থাকে এবং এগুলি পৃথিবীর জীবজন্তু ও জীবনযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সাগরিক জীবন ও প্রকৃতির সাথে মানুষের সম্পর্কে প্রভাবপ্রদ এবং নিখরচায় ভূমিকা রয়েছে।
মহাসাগর কয়টি ও কি কি?
স্বীকৃত মহাসাগর ৫ টি :
১। প্রশান্ত মহাসাগর
২। আটলান্টিক মহাসাগর
৩। ভারতীয় মহাসাগর
৪। আর্টিক মহাসাগর
৫। দক্ষিণ মহাসাগর
১। প্রশান্ত মহাসাগর
প্রশান্ত মহাসাগর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং সমৃদ্ধ মহাসাগরের মধ্যে একটি। এটি প্রাসিফিক মহাসাগর নামেও পরিচিত। এটি পূর্বে দক্ষিণে, পশ্চিমে, উত্তরে এবং পূর্বে আমেরিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, এবং অশান্ত মহাসাগরের মধ্যে প্রসারিত রয়েছে। এই মহাসাগরের অধিকাংশ অংশই সমুদ্র জলে অবস্থিত।
প্রশান্ত মহাসাগরের উপর বলা হয় যে, এটি প্রায় ১৫০ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্রশাসিত করে এবং এর গভীরতা প্রায় ৪,০০০ মিটার। এই মহাসাগরে অবস্থিত একাধিক দ্বীপসমূহ, জেলা সমূহ, এবং অভিজাত জীববৈচিত্র্য রয়েছে। এটি প্রায় ১৫,০০০ মিটার গভীর মহাসাগর গ্রেভ এবং এর জলসৈকতিক বৈশিষ্ট্যের জন্য অনেকগুলি বিশেষজ্ঞদের অনুশীলনের ক্ষেত্র হিসেবে মহাসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এটি আমেরিকার পশ্চিম তীরের “রিং অফ ফায়ার” হিসাবে পরিচিত একটি অত্যন্ত জলযাত্রায় ক্ষেত্র। এটি একে অপরের বিপরীত সীমানা এবং প্রকৃতির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের জন্য আমেরিকা ও এশিয়ার মধ্যে প্রায় ২০ হাজার মাইল (৩২,২০০ কিলোমিটার) প্রসারিত একটি মহাসাগর। এটি প্রায় ১৫০০ ধরনের জীব প্রকৃতি উপজাতি ও সমৃদ্ধ মাইল (২,৪০০ কিলোমিটার) উপজাতির মধ্যে বাস করে।
২। আটলান্টিক মহাসাগর
Read More : পৃথিবীতে কয়টি দেশ আছে
আটলান্টিক মহাসাগর একটি প্রধান মহাসাগর যা উত্তর অমেরিকা এবং দক্ষিণ অমেরিকা উভয়ের মধ্যে অবস্থিত। এটি পৃথিবীর দুটি মহাদেশ, উত্তর অমেরিকা ও দক্ষিণ অমেরিকা, মধ্যে অবস্থিত এবং আয়ারল্যান্ড মহাদেশও প্রায় ৫০০ মিলিয়ন বছরের আগে এই মহাসাগর দ্বারা বিভক্ত হয়েছিল।
আটলান্টিক মহাসাগর প্রায় ৮০ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার এলাকা অধিক। এটি প্রায় ৩০০০ মিটার গভীর যা একটি বৃহত্তম মহাসাগর গ্রেভবোট এর সাথে মিলিত হয়। এই মহাসাগরের পানিতে বিভিন্ন জীবজগত ও প্রাণী পাওয়া যায়, যেমন মাছ, স্নায়ুজীবী, কেতদ্বারা, ওষুধপাতি, এবং বিভিন্ন প্রকারের কোরাল।
আটলান্টিক মহাসাগর পানি দিয়ে সংযুক্ত মহাদেশগুলির মধ্যে পরিবহনের গল্প হিসাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি বৃহত্তম নৌকা যাতায়াতের অধিকাংশ পথ হিসাবে ব্যবহৃত হয়, সহ সাগরিক শিল্পের মূল সম্পদ হিসাবে এই মহাসাগরের গুরুত্ব অনেক।
৩। ভারতীয় মহাসাগর
ভারতীয় মহাসাগর পৃথিবীর মহাসাগরগুলির মধ্যে একটি, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অবস্থিত। এটি ভারতের পূর্ব এবং দক্ষিণের অংশের মধ্যে প্রসারিত। ভারতীয় মহাসাগর পূর্বে বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, স্রীলংকা, এবং আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের সাথে সীমাবদ্ধ। পশ্চিমে ভারতীয় মহাসাগরের সীমা ভারতের পশ্চিমী তীরের সাথে মিলিত।
ভারতীয় মহাসাগরের মোট ক্ষেত্রফল প্রায় ৭০,৫৬১,২৫০ বর্গ কিলোমিটার এবং গভীরতা প্রায় ৩,০০০ মিটার পর্যন্ত পৌঁছে। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর মহাসাগরের মধ্যে একটি। ভারতীয় মহাসাগর তার পশ্চিমে আরব সাগরে, উত্তরে বাংলা খাড়িতে, পূর্বে ইণ্ডোনেশিয়ার ওপরে এবং দক্ষিণে শব্দসাগরে সংযোজিত থাকে।
ভারতীয় মহাসাগরে বৃহৎ একটি দ্বীপগুলি বর্তমানেও রয়েছে, যেমন শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, এবং আন্দামান এবং নিকোবার দ্বীপসমূহ। ভারতীয় মহাসাগরে জীববৈচিত্র্য, সমৃদ্ধি, এবং পরিবারগত গুরুত্ব রয়েছে, এবং এটি একটি মুখ্য সমৃদ্ধ মাছ সম্পদ এবং জলসঙ্গতির উপকরণ সরবরাহ করে।
৪। আর্টিক মহাসাগর
আর্টিক মহাসাগর পৃথিবীর উত্তরে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসাগর। এটি উত্তর পোলার এলারা পর্যবেক্ষণের জন্য পরিচিত এবং প্রায় পৃথিবীর সবচেয়ে ঠাণ্ডা এবং অপরিবর্তনীয় অঞ্চল।
আর্টিক মহাসাগরের পরিসীমারে অনেক দ্বীপ, জলবিল্মব, এবং ব্রাসেলান্ডস নামক অবস্থান রয়েছে। এটি মোবাইল আর্টিক মহাসাগর ব্রিজ এর মাধ্যমে উত্তর এবং দক্ষিণ আর্টিক মহাসাগরের সাথে সংযুক্ত। আর্টিক মহাসাগরে বাহুগুলি সর্বোচ্চ ঠান্ডা ও উচ্চ চাপের হয়।
এটি হালকা ক্রমশঃ ঘটনাগুলির জন্য মুখ্য অঞ্চল হিসাবে পরিচিত, যেমন অভ্যন্তরীণ অপরিবর্তনীয় এবং আর্কটিক বিশেষ গ্যাপ হিসাবে। এটি গ্রহ উত্তরাধিকারী হিসেবে ও সমৃদ্ধ সম্পদের সৌভাগ্যবান হিসেবে পরিচিত। আর্টিক মহাসাগর জীবজন্তু প্রজাতি, বায়ু ও জলসাধারণের সাথে অভিযান প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। এটি গ্রীনল্যান্ড ও আর্কটিকের সাথে সংযুক্ত হয়।
৫। দক্ষিণ মহাসাগর
দক্ষিণ মহাসাগর, পৃথিবীর দক্ষিণে অবস্থিত একটি বৃহৎ মহাসাগর। এটি দক্ষিণ অমেরিকা, আফ্রিকা, আস্ট্রেলিয়া, এবং আন্টার্কটিকা মহাদেশের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত। এই মহাসাগরের অবস্থানের কারণে এর সমৃদ্ধ সম্পদ ও প্রাণী জীবনের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
দক্ষিণ মহাসাগরের উপর দক্ষিণের পোলার রেজিংস এবং আন্টার্কটিকা আর্কটিক মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এটি প্রায় ৭৫,০০০ ফুট (২৩,০০০ মিটার) গভীর। এই মহাসাগরে একটি বৃহৎ জীব সমৃদ্ধ জলজীবন রয়েছে, যাতে মছু, কেতদ্বারা, স্নায়ুজীবী, ওষুধপাতি, ওষুধবিশেষজ্ঞ, এবং অন্যান্য প্রাণীর সমাবেশ রয়েছে।
দক্ষিণ মহাসাগর অনেকগুলি প্রাণী জীবনের আহার এবং আওতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসাবে কাজ করে। এটি আর্কটিক ও উত্তর মহাসাগর মহাদেশের প্রতিরোধ করার সমর্থতা প্রদর্শন করে এবং মহাসাগরের জীববৈচিত্র্য এবং জলজীবন বিষয়ে প্রকৃতির গবেষণা ও সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
